দেব-শুভশ্রী’র পুনর্মিলন: নতুন – পুরনো ব্যক্তিগত আক্রমণ ইস্যু

Putul

August 12, 2025

দেব

গত কয়েক বছর বাংলা সিনেমার দর্শকদের মনে অনস্বীকার্য নস্টালজিয়া ও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে দেব ও শুভশ্রী’কে নিয়ে। ২০০৯ সালে ‘চ্যালেঞ্জ’–এর মাধ্যমে যে সফল যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা দীর্ঘ বিরতির পর আবার ফিরে এলো ‘ধূমকেতু’ সিনেমা’র মধ্য দিয়ে। দেব—বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী অভিনেতা, যাঁর নাম আজও আলো-আঁধারির গল্পে অন্যতম ফোকাস পয়েন্ট।

নতুন সিনেমা: দেব-শুভশ্রী জুটি আবারও একসঙ্গে

গত ১৪ আগস্ট মুক্তি পাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘ধূমকেতু’। দেব-শুভশ্রী দুজনেই একসঙ্গে প্রোমোশনে হাজির হয়ে দর্শকদের সামনে তুলে ধরেছেন পুরনো সম্পর্কের আবেগ এবং পেশাদারিত্বের শুদ্ধতা। সিনেমার ট্রেলার লঞ্চ উপলক্ষ্যে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর তারা একসঙ্গে মঞ্চ ভাগ করেছেন, দর্শকদের সামনে নাচও করেছেন—যা বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বিরল ঘটনা।

দেবের ব্যক্তিত্ব: পজিটিভিটি এবং ট্রল প্রসঙ্গে তাঁর মানসিকতা

ইভেন্টের পরে বাৎসরিক একটি পার্টিতে দেব তাঁর ভাবনা স্পষ্ট করেন। তাঁর মতে, “আমাদের পরিবারই বড় সাপোর্ট।” দেব বিশ্বাস করেন, ব্যক্তিগত আক্রমণ মানসিকভাবে কষ্টদায়ক, কিন্তু নেগেটিভ মন্তব্যের ঊর্ধ্বে থাকার মাধ্যমেই তিনি এবং শুভশ্রী সামনে এগোতে চান। দেব বলেন, “আমার দর্শকরা দেব-শুভশ্রী’কে আবারও দেখতে চেয়েছিলেন—সেই নস্টালজিয়া ফিরিয়ে দিতে চেয়েছি। মোটেও অভিনয় করিনি, বরং পরিবার ও সম্পর্কের পজিটিভ দিকটাই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।”

সামাজিক মাধ্যমের ট্রল ও দেবের দৃষ্টিভঙ্গি

দেব অত্যন্ত নম্রভাবে মন্তব্য করেন, “যারা ট্রল করছে চালিয়ে যান, এতে ছবিটা আরও বড় হচ্ছে।” এর পাশাপাশি তিনি বলেন,“নেগেটিভ জিনিস দূর পর্যন্ত যায়, তবে পজিটিভ বিষয় আলাদা আনন্দ দেয়।” তিনি চান, বদনাম নয়, বরং সম্পর্কের সঠিক দিকটাই সমাজে ছড়িয়ে পড়ুক।

পরিবারের ভূমিকা: রাজ ও রুক্মিণীর অবদান

ব্যক্তিগত আক্রমণের মাঝে দেব কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র এবং নির্মাতা রাজ চক্রবর্তীর প্রতি। ‘ধূমকেতু’ সিনেমার জন্য রুক্মিণীর উৎসাহ, নিজেদের রিল বানানো—সবই তাঁর কাছে স্মরণীয়। দেব বলেন, “পরিবারের সাপোর্ট না থাকলে আনন্দটা প্রকাশ পেত না।”

শুভশ্রীর বক্তব্য: দেবের জন্য চার বছরের অপেক্ষা

এই ইভেন্টে শুভশ্রী একাধিকবার বলেছেন দেবের জন্য নিজের দীর্ঘ অপেক্ষা ও কাজের উত্সর্গের কথা। দেবও শেয়ার করেন, “শুভশ্রী, রাজ, রুক্মিণীর কাছে যদি অপমান হয়, আমি দুঃখিত; তবে ছবির জন্য আমরা যে পজিটিভিটি তৈরি করতে চেয়েছিলাম, সেটা পরিবার থেকেই এসেছে।”

নস্টালজিয়া, পজিটিভিটি আর বাংলা সিনেমার ভবিষ্যৎ

এই পুনর্মিলন শুধু একটি সিনেমা মুক্তি নয়—এটি বাংলা বিনোদন জগতে পজিটিভ বার্তা ছড়িয়েছে। দেব স্পষ্ট বলেন, “ছবির আগে যে নেগেটিভতা ছিল, সেটি মুছে ফেলতে চেয়েছি।” পরিবারের ঐক্য, সুস্থ সম্পর্ক, এবং দর্শকদের দিকে পজিটিভিটির বার্তা—এই তিনটি মূল্যবোধকেই তিনি তুলে ধরেছেন।

শেষ পর্যন্ত, দেবের বক্তব্য স্পষ্ট—“আমি চাই কেউ ভালো থাকুক, আমাদের পরিবার ছাড়া এই ভালোবাসা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।” দেব তাঁর কাজ, পরিবার আর দর্শকদের সম্মান দিয়ে বাংলা বিনোদন জগতে পজিটিভ পরিবর্তনের বার্তা দিয়েছেন। এই নতুন সিনেমা নিয়ে তাঁর প্রত্যাশা, দেব-শুভশ্রী’র সম্মিলিত আবেগ—সবই বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নতুন আলো যোগ করবে।

আরও পড়ুন : ইংরেজি শেখার সহজ উপায়

Leave a Comment